বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এই দেশের ৯০ ভাগ মানুষের প্রধান খাবার হলো ভাত। প্রবাদে আছে মাছে ভাতে বাঙালি। এই দেশের মানুষ ভাত না খেয়ে ঘুমাতে পারেনা। প্রতিদিন চালের বাজার মূল্য তালিকা যে হরে বেড়ে যাচ্ছে আল্লাহ জানে ভাত খাওয়ার জন্য চাল কি করে কিনবে এই জাতি। প্রতিদিনের চালের দাম বৃদ্ধি আমাদের চিন্তার কারণ। আর তাই প্রতিদিনের বাজারের তালিকায় চালের বাজার মূল্য তালিকা আজ আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
চালের বাজার মূল্য তালিকা
১. পাইজাম চাল প্রতি কেজি ৪৮-৫৪ টাকা
পাইজাম চাল বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সবচেয়ে প্রিয় চাল। মধ্যবিত্ত পরিবারের উপার্জন অনুযায়ী এই দামের চাল গুলা তাদের পরিবারের জন্য উত্তম একটি চাল। প্রতি বস্তা চালের দাম ২২০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা হয়ে থাকে। খুচরা মুদি দোকানে এই চাল বর্তমানে ৪৮ টাকা থেকে ৫৪ টাকা এর মধ্যে পাওয়া যায়।
তবে চালের ব্র্যান্ড এর কারণে দাম কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাই। তাছাড়া খুচরা দোকানে লাভের পরিধি তো থাকছে। কেউ ৪৮ তো কেউ ৫৮ তে বিক্রি করে। তবে পাইকারি দোকান থেকে বস্তা কিনতে পারলে লাভবান হবে বলে আমরা পরার্মশ করছি।
২. জিরাশাইল চাল প্রতি কেজি ৬০-৬৮টাকা
পাইজাম চাল বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের জন্য সবচেয়ে প্রিয় চাল। মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের উপার্জন অনুযায়ী এই দামের চাল গুলা তাদের পরিবারের জন্য উত্তম একটি চাল। প্রতি বস্তা চালের দাম ২৭০০ টাকা থেকে ২৯০০ টাকা হয়ে থাকে, বাজার ঘাড়তি দেখিয়ে মাঝে মাঝে ৩১০০ টাকা ও হয়ে যায় যা একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ক্রয় করা কষ্টকর । খুচরা মুদি দোকানে এই চাল বর্তমানে ৬০টাকা থেকে ৬৮ টাকা এর মধ্যে পাওয়া যায়।
তবে চালের ব্র্যান্ড এর কারণে দাম কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাই। তাছাড়া খুচরা দোকানে লাভের পরিধি তো থাকছে। কেউ ৬০তো কেউ ৭২ তে বিক্রি করে। তবে পাইকারি দোকান থেকে বস্তা কিনতে পারলে লাভবান হবে বলে আমরা পরার্মশ করছি।
৩. বাসমতি চাল প্রতি কেজি ৬৫-৮০টাকা/১২০ টাকা (ব্র্যান্ড)
পাইজাম চাল বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত পরিবারের জন্য সবচেয়ে প্রিয় চাল। খুব চিকন এই চালটি উচ্চবিত্ত পরিবারের পছন্দের অন্যতম। প্রতি বস্তা চালের দাম ৩১০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা হয়ে থাকে, বাজার ঘাড়তির সময় মাঝে মাঝে ৩৭০০ টাকা ও হয়ে যায় যা একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ক্রয় করা কষ্টকর । খুচরা মুদি দোকানে এই চাল বর্তমানে ৬৫টাকা থেকে ৮০ টাকা এর মধ্যে পাওয়া যায়। তবে ইন্ডিয়ান বাসমতি নামে ১২০ টাকা দামে এই চাল পাওয়া যায়
তবে চালের ব্র্যান্ড এর কারণে দাম কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাই। যেমন প্রাণ , চাষী ইত্যাদি। তাছাড়া খুচরা দোকানে লাভের পরিধি তো থাকছে। কেউ ৮০ তো কেউ ১২০ তে বিক্রি করে।
৪. চিনিগুঁড়া চাল প্রতি কেজি ৭৫-৮৬টাকা
বিয়ে হোক কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠান বাঙালির গড়ে বিরিয়ানি রান্না করার অন্যতম চাল হল চিনিগুঁড়া চাল। বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত পরিবারের জন্য সবচেয়ে প্রিয় চাল। উচ্চবিত্ত পরিবার প্রতিদিন খেলে ও প্রায় নিন্ম ও মধ্যবিত্ত সকল পরিবার বিরিয়ানি অথবা অনুষ্ঠানে চিনিগুঁড়া চাল রান্না করে থাকে। পোলাও , বিরিয়ানি , পায়েস ইত্যাদি নানান ভাবে এটি রান্না করা যায়। খুব চিকন এই চালটি সকলে পছন্দ করে থাকে।
সাধারণত বস্তায় পাওয়া যায় না। কিছু পাইকারি দোকানে পাওয়া যায় চালের দাম ৩১০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা হয়ে থাকে, বাজার ঘাড়তির সময় মাঝে মাঝে ৩৭০০ টাকা ও হয়ে যায় যা একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ক্রয় করা কষ্টকর । খুচরা মুদি দোকানে এই চাল বর্তমানে ৭৫ টাকা থেকে ৮৬ টাকা এর মধ্যে পাওয়া যায়। তবে ইন্ডিয়ান বাসমতি নামে ১২০ টাকা দামে এই চাল পাওয়া যায়
তবে চালের ব্র্যান্ড এর কারণে দাম কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাই। যেমন প্রাণ , চাষী ইত্যাদি। তাছাড়া খুচরা দোকানে লাভের পরিধি তো থাকছে। কেউ ৮০ তো কেউ ১২০ তে বিক্রি করে।
৫. কাটারি আতপ চাল প্রতি কেজি ৬৫-৭৬টাকা
বিয়ে হোক কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠান বাঙালির গড়ে বিরিয়ানি রান্না করার অন্যতম চাল হল কাটারি আতপ চাল। বাংলাদেশের উচ্চবিত্ত পরিবারের জন্য সবচেয়ে প্রিয় চাল। উচ্চবিত্ত পরিবার প্রতিদিন খেলে ও প্রায় নিন্ম ও মধ্যবিত্ত সকল পরিবার বিরিয়ানি অথবা অনুষ্ঠানে কাটারি আতপ চাল রান্না করে থাকে। পোলাও , বিরিয়ানি , পায়েস ইত্যাদি নানান ভাবে এটি রান্না করা যায়। খুব চিকন এই চালটি সকলে পছন্দ করে থাকে।
প্রতি বস্তা দাম ৩১০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা হয়ে থাকে, বাজার ঘাড়তির সময় মাঝে মাঝে ৩৭০০ টাকা ও হয়ে যায় যা একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ক্রয় করা কষ্টকর । খুচরা মুদি দোকানে এই চাল বর্তমানে ৬৫ টাকা থেকে ৭৬ টাকা এর মধ্যে পাওয়া যায়।
তবে চালের ব্র্যান্ড এর কারণে দাম কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাই। যেমন প্রাণ , চাষী ইত্যাদি। তাছাড়া খুচরা দোকানে লাভের পরিধি তো থাকছে। কেউ ৬৫ তো কেউ ৮৬তে বিক্রি করে। তবে পাইকারি দোকান থেকে বস্তা কিনতে পারলে লাভবান হবে বলে আমরা পরার্মশ করছি।
৬. গুটি স্বর্ণা(মোটা চাল) চাল প্রতি কেজি ৩৫-৪৪টাকা
বাংলাদেশের নিন্মবিত্ত পরিবারের জন্য সবচেয়ে প্রিয় চাল। নিন্মবিত্ত পরিবার প্রতিদিন এমন চাল খাওয়ার মূল কারণ এই চালের বাজার মূল্য তালিকা । খুব মোটা এই চালটি নিম্মবিত্ত মানুষপছন্দ করে থাকে।
প্রতি বস্তা দাম ১৭০০ টাকা থেকে ২১০০ টাকা হয়ে থাকে, বাজার ঘাড়তির সময় মাঝে মাঝে ২৪০০ টাকা ও হয়ে যায়। যা একটি নিম্মবিত্ত পরিবারের জন্য ক্রয় করা কষ্টকর । খুচরা মুদি দোকানে এই চাল বর্তমানে ৩৫ টাকা থেকে ৪৪ টাকা এর মধ্যে পাওয়া যায়।
তবে চালের ব্র্যান্ড এর কারণে দাম কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাই। যেমন প্রাণ , চাষী ইত্যাদি। তাছাড়া খুচরা দোকানে লাভের পরিধি তো থাকছে। কেউ ৩২ তো কেউ ৪৪ তে বিক্রি করে। তবে পাইকারি দোকান থেকে বস্তা কিনতে পারলে লাভবান হবে বলে আমরা পরার্মশ করছি।
আরো জানতে ভিজিট করুন।