খারাপ সময় যাচ্ছে? কোনো কিছুই মন মতো হচ্ছেনা? দোয়া কবুলের জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছেন। সময় খারাপ যাওয়ার কারণে সব সময় কর্কশ হয়ে থাকেন। আপনি কি জানেন না আল্লাহ তা’আলা তার বান্দার ধৈর্যর পরিক্ষা নেন। আজ আমরা ধৈর্য ধারণ এবং ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা করব।

ধৈর্য ধারণ এবং ইসলাম

‘তোমরা সময়কে গালি গালাজ করোনা কারণ, আল্লাহ সময়ের পরিবর্তনকারী’। (সহীহ মুসলিম, ৫৭৫৯)

আজ আপনার সময় ভালো যাচ্ছেনা, অন্যের সময় ভালো যাচ্ছে, আপনি হতাশ, আপনার মন খারাপ, এই সকল কিছুই আল্লাহর ইচ্ছা। আপনার সফলতা তখনই আসবে যখন আপনি পুরোপুরি আল্লাহ তা’আলার উপর বিশ্বাস করবেন। আপনার জীবনের প্রতিটা সিদ্ধান্ত যখন আল্লাহর উপর ছেড়ে দিবেন তখন আর কোনো কিছুর জন্য আপনাকে পেরাশন হতে হবেনা। মনে রাখবেন, মুমিন কখনো হতাশ হয়না, বরং মুমিন যেকোনো খারাপ পরিস্থিতিতে আল্লাহকে স্মরণ রাখে। ধৈর্য এমন একটা জিনিস যা মানুষকে শক্তিশালী করে তুলে। ধৈর্য সম্পর্কে

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা বলেন—

হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং ধৈর্য ধারণে প্রতিযোগিতা কর’। (সূরা আলে ইমরান, ২০০)

কেবল ধৈর্যশীলদেরকেই তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেয়া হবে কোন হিসাব ছাড়াই’। (সূরা যূমার, ১০)

নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা এবং কিছু ধনপ্রাণ এবং ফলের (ফসলের) লোকসান দ্বারা পরীক্ষা করব; আর তুমি ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ দাও’। (সূরা বাকারাহ, ১৫৫)

যতোটা ধৈর্যশীল হতে পারবেন আপনি ততোবেশিই রবের দেয়া পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন। অতি সহজেই যেই জিনিসটা পেয়ে যাবেন তার প্রতি আকর্ষণ আপনার কম ই থাকবে এটা স্বাভাবিক। যাদেরকে আল্লাহ তা’আলা ধনী বানিয়েছেন প্রভাবশালী বানিয়েছেন, যাদের বাড়ি গাড়ি টাকার অভাব নেই। ব্যবসা ভালো, চাকুরী ভালো, এইসব কিছুই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার পরিক্ষা মাত্র। ধন সম্পদ, অবস্থান, ক্ষমতা, ক্ষ্যাতি দিয়ে তিনি মানুষকে পরিক্ষা করেন।

সেই দুঃখকে ভালোবাসতে শিখুন যেই দুঃখ আপনাকে আপনার রবের আরো কাছে নিয়ে যায়। কেননা মানুষ যখন কস্টে থাকে তখন সে তার রবকে আরো বেশি ডাকে। তাই ধৈর্য ধরতে শিখুন। কস্টকে ভালোবাসতে শিখুন। হাদিসে বর্নিত আছে—

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে কষ্ট-ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানি আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফোটে, এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেন’। (বুখারি, ৫৬৪১)

সুতরাং বিপদে ধৈর্যহারা না হয়ে মনোবল শক্ত করুন।
কেননা, এই সময় শীগ্রই ফুরিয়ে যাবে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ইসলামিক আরো তথ্য ‍পেতে পড়তে পারেন শিক্ষার আলোর  এই আয়াতুল কুরসি সম্পর্কে জানুন আয়াতুল কুরসির অর্থ ও ফজিলত