ইস্তেগফার এর গুরুত্ব খুবই বেশী । আমাদের জীবনের লক্ষ অথ্যাৎ (Aim in Life) ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার না আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য হল জান্নাতে যাওয়া। জান্নাত আমাদের একমাত্র লক্ষ্য । আর জান্নাতে যাওয়ার জন্য ইস্তেগফার এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
♥♥♥ ইস্তেগফার এর গুরুত্ব ♥♥♥
আপনি কি এমন ব্যক্তি হতে চান??
যে ব্যক্তি কোনো দোয়া করার সাথে সাথেই কবুল হয়ে যায়।
তাহলে উঠতে বসতে চলতে ফিরতে সবসময় পড়ুন ‘আস্তাগফিরুল্লহ’।
তবে আপনি আসলে কি পড়তেছেন তার অর্থ বুঝে পড়বেন। অর্থ না জানলে আপনি কিভাবে বুজবেন আপনি কোন বিষয়টা আল্লাহর কাছে তুলে ধরলেন। তাই যা পড়েন তার অর্থ জানা আবশ্যক।
‘আস্তাগফিরুল্লহ’ অর্থ আল্লাহ আমাকে তুমি ক্ষমা করো।
শয়তান আমাদেরকে সবসময় বলে⇨
_ হে মানুষ
_ তুমি নামায রোযা হজ্জ্ব যাকাত সব কর। যত পারো তাসবীহ পড়। কিন্তু প্লিজ তুমি ‘আস্তাগফিরুল্লহ’ এই তাসবীহ টা কখনই পড়োনা।
এর কারন কি জানেন??
কারন ‘আস্তাগফিরুল্লহ’ এর আরেকটা ব্যাখ্যা হলো এটা একটা ‘রাবার’
যাকে বলে ‘লিখা মুছার ডাস্টার’
আমরা যতবার ‘আস্তাগফিরুল্লহ’ পড়ব ততবারই আমাদের পাপের খাতা থেকে একটা পাপ মুছে ফেলা হবে।
তাহলে আমরা যদি প্রতিদিন এক হাজার বার ‘আস্তাগফিরুল্লহ’ পড়ি তাহলে আমাদের এক হাজার টা পাপ মুছে ফেলা হবে। এভাবে প্রতিনিয়ত ‘আস্তাগফিরুল্লহ’ পরতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই আমরা সম্পুর্ণ নিষ্পাপ হয়ে যাব।
একটা সময়ে এসে ফেরেশতারা আল্লাহকে বলবে হে আল্লাহ_
তোমার এই বান্দা এতবারই ‘আস্তাগফিরুল্লহ’ পাঠ করেছে যে,,এখন আর কোনো পাপই লেখা নেই খাতায়। সব পাপ মুছে ফেলা হয়ে গেছে। কিন্তু বান্দা এখনও ‘আস্তাগফিরুল্লহ’ পড়তেই আছে। এখন তাহলে কি করব আমরা।
তখন আল্লাহ বলবেন ⇨
খাতার মধ্যে প্রতিটা লিখার যে দাগ গুলা রয়ে গেছে সেগুলা মুছে দাও।
আরেকটা সময়ে ফেরেশতারা আবার বলবে হে আল্লাহ_ দাগ মুছাও শেষ। এখন কি করব।
আল্লাহ তখন বলবেন⇨
এবার তাহলে একটা ‘আস্তাগফিরুল্লহ’ এর পরিবর্তে একটা সওয়াব তার আমলনামায় লিখে রাখো।
সুবহানআল্লাহ♥
এবার নিশ্চই বুজতে পেরেছেন এই ‘আস্তাগফিরুল্লহ’ এর ক্ষমতা কতটুকু,, শয়তান যা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা।
শুধুমাত্র বাথরুম বাদে বাকি সবসময় আপনি এই তাসবীহ টি যিকির করবেন। যখনি মনে পড়বে তখনি পড়বেন।
তাহলেই আপনি ‘মুস্তাযাবুদ দাও”