আইফোন উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার কারণ সম্পর্কে জানুন।
পূর্বপরিকল্পনার চেয়ে গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আইফোন ১৩ মডেলের স্মার্টফোন ২০ শতাংশ কম তৈরি করেছে অ্যাপল। এই সম্পর্কে জানে এমন সূত্রের বরাত দিয়ে আজ বুধবার এ কথা জানিয়েছে জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই।
বছরের শেষ প্রান্তিক অ্যাপলের জন্য এমনিতেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। ছুটির মৌসুম বলে ডিসেম্বরে বেশ ব্যস্ত সময় কাটায় মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। কারণ ক্রেতারা বড়দিনের উপহার হিসেবে অ্যাপলের পণ্য কিনে থাকেন এবং প্রিয়জনকে উপহার দিয়ে থাকেন।
সেপ্টেম্বরে আইফোন ১৩ সিরিজ এবং নতুন আইপ্যাড বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিল। এই সময়টাতে বিশ্বব্যাপী মাইক্রোচিপের সংকটে ছিল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই সংকট এখন লেগে আছে। চিপ–সংকটের কারণে অ্যাপলের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়।
আইফোন উৎপাদন হ্রাস প্রসঙ্গে অ্যাপলের সিইও টিম কুক অক্টোবরে রয়টার্সকে বলেছিলেন যে সাপ্লাই-চেইন ম্যানেজমেন্ট চ্যালেঞ্জের প্রভাব আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় বড়দিনের ছুটির মওসুমে আরও বেশি হবে।
অক্টোবরে বেশ কিছু দিন আইফোন ও আইপ্যাডের উৎপাদন বন্ধ ছিল। এক দশকের বেশি সময়ে এমনটি ঘটেনি। এটি মূলত চীনে বিদ্যুতের ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ এবং চিপ সংকটের কারণে।
সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে, আইপ্যাডের উত্পাদন পরিকল্পনার তুলনায় প্রায় ৫০শতাংশ কম হয়েছে। Nikkei এর মতে, আগের মডেলের আইফোনের উৎপাদনও ২৫ শতাংশ কমেছে।
এছাড়াও, গত সপ্তাহে ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আইফোন ১৩ স্মার্টফোনের চাহিদাও হ্রাস পেয়েছে, অ্যাপলের মতে।
আইফোন উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার কারণ সম্পর্কে আরও কিছুর জানা থাকলে আমাদের জানাতে পারেন।