

ছড়াক আলো বিশ্বময়
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় দ্বিনী ভাই ও বোনেরা । আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমত পেয়েছেন। এবং আল্লাহ আপনাদের অনেক ভালো রেখেছেন। আপনারা হয়তো একটা হাদিস জানেন যে আল্লাহ নবী (সা) বলেন প্রতিটি শিশু ইসলাম এর উপর জন্ম গ্রহণ করে, পরে তার পিত মাতার কারণে সে মুশরিক হয়. ইসলামে শিশুর অধিকার সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। ইসলামে একটি শিশু শুধু জন্ম গ্রহণ করে না তার অনিক গুলা প্রাপ্তি ও থাকে। সন্তানের উপর পিতা মাতার দায়িয়েত্ব ও কর্তব্য নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আশা করি পুরো আর্টিকেল পড়বেন।
ইসলামি দৃষ্টিকোণে শিশু হচ্ছে উম্মাহর জন্য সৌভাগ্য ও মা-বাবার জন্য সুসংবাদ। আল-কুরআনে এসেছে- “হে যাকারিয়া! আমি তােমাকে সুসংবাদ দিচ্ছি এক পুত্র সন্তানের, যার নাম হবে। ইয়াহইয়া, ইতঃপূর্বে আর কাউকেও এ নামধারী করিনি।” — (আল-কুরআন, সূরা মারইয়াম ১৯ : ৭)
শিশুসন্তান হচ্ছে চোখের প্রশান্তি। আল্লাহ তা’আলা তার প্রিয় বান্দাদের একটি বৈশিষ্ট্য এভাবে বর্ণনা করেছেন যে, তারা বলে- “ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের স্ত্রী সন্তানদেরকে আমাদের জন্য নয়ন জুড়ানাে করে দিন।”– (আল-কুরআন, সূরা আল ফুরকান ২৫ : ৭৪)
নবজাতক শিশু সন্তান ভূমিষ্ঠের পর নবজাতকের উদ্দেশ্যে তার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং উত্তম মানুষ হওয়া কামনা করে দু’আ করতে হবে। নবজাতকের জন্য উপহার উপঢৌকন দেওয়াও একটি উত্তম ব্যবস্থা। বস্তুত জন্মের সুসংবাদ প্রচারিত হওয়ার অধিকার প্রত্যেক শিশুরই রয়েছে। অর্থাৎ কারাে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে তার উচিত আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের সেই সংবাদ প্রদান করা এবং প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের উচিত যার সন্তান জন্মগ্রহণ করে তাকে অভিনন্দন জানান ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা।
হাদীসের বাণী, “হযরত আলী ইবনে আবি তালিব রা. রাসূলুল্লাহ সা. থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সা. হাসান রা.-এর পক্ষে বকরি দ্বারা আকিকা করলেন এবং স্বীয় কন্যা ফাতিমাকে নির্দেশ দিলেন মাথা মুণ্ডন করতে এবং মাথার চুল সমপরিমাণ ওজনে রৌপ্য দান করতে।”( ইমাম তিরমিযী, জামিউত তিরমিযী, হাদীস নং : ১৫১২৯)
শিশুর আরও একটি অধিকার হলাে শৈশবের প্রারম্ভেই সুন্নাতে খাতনা করানাে। এটা পিতা-মাতার ওপর সন্তানের হক। খাতনা সকল নবী-রাসূল আ.-এর সুন্নাত এবং ইসলামের প্রতীক।
হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ রলেন “পাঁচটি কাজ সুন্দর স্বভাবের মধ্যে গণ্য খাতনা করা, নাভির নিচের চুল পরিষ্কার করা, বগলের চুল উঠানাে, মােচ কাটা এবং নখ কাটা।” (ইমাম বুখারী, সহীহ বুখারী, কিতাবুল এসতি’যান, খণ্ড-৫, পৃ. ২২০৯, হাদীস নং ৫৫৫২।)
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- অর্থাৎ “তিনি (আল্লাহ) আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন, অতঃপর সে সমুদয় ফেরেশতাদের সম্মুখে পেশ করে বললেন, ‘এ সমুদয়ের নাম আমাকে বলে দাও, যদি তােমরা সত্যবাদী হও। তাঁরা (ফেরেশতারা) বলল, ‘আপনি মহান, পবিত্র। আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন, তা ব্যতীত আমাদের তাে কোনো জ্ঞানই নেই। বস্তুত আপনি জ্ঞানময় ও প্রজ্ঞাময়। (সূরা বাকারা : ৩১-৩২)