মেসওয়াক ব্যবহারের ৪৬ টি ফজিলত সম্পর্কে আজ আপনাদের জানাব ইনশাআল্লাহ।
মিসওয়াক প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় একটি সুন্নত। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত এটি। আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ، مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ.
মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা, রবের সন্তুষ্টির মাধ্যম। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ২৮৯; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ১৩৫; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১০৬৭
মেসওয়াক ব্যবহারের ৪৬ টি ফজিলত
১. আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হন।
২. নামাজেরর সওয়াব নিরানব্বই বা চারশ গুন।
৩. কথায় সচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়।
৪. জীবিকা নির্বাহ সহজ হয়।
৫. মুখ পরিষ্কার হয়।
৬. দাতের মাড়ি মজবুত হয়।
৭. মাথার রোগ নিরাময় হয়।
৮. কোন স্থীর রগ নড়াচরা করে না এবং নড়াচড়াকারী রগ স্থীর হয় না।
৯. কফ দূর হয়।
১০. দাত শক্ত হয়।
১১. দৃষ্টি শক্তি ঠিক ও তীক্ষ্ণ থাকে।
১২. পাকস্থালী সুস্থ্য থাকে ও পরিষ্কার হয়।
১৩. শরীর শক্তিশালী হয়।
১৪. স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১৫. অন্তর পবিত্র হয়।
১৬. নেকী বেড়ে যায়।
১৭. ফেরেস্তাগন খুশি হন।
১৮. ফেরেস্তা তার সাথে মোছাফাহা করেন।
১৯. মসজিদ থেকে বের হলে ফেরেস্তাগন পিছনে পিছনে চলেন।
২০. নবী রাসূলগন তার জন্য ক্ষমার দোয়া করেন।
২১. শয়তান অসন্তুষ্ট হয় ও বিতাড়িত হয়।
২২. খাবার হজমে সহায়তা করে।
২৩. অধিক সন্তান লাভ হয়।
২৪. বার্ধক্য বিলম্বে আসে।
২৫. পীঠ মজবুত হয়।
২৬. উষ্ণতা দূর হয়।
২৭. দাত সাদা হয়।
২৮. মুখে সুঘ্রাণ আনে।
২৯. পেটের রোগ দূর হয়।
৩০. কণ্ঠ সুন্দর হয়।
৩১. জিহ্বা পরিষ্কার হয়।
৩২. বুদ্ধি তীক্ষ্ণ হয়।
৩৩. আর্দ্রতা বন্ধ হয়।
৩৪. প্রয়োজন পুরা হতে সাহায্য করে।
৩৫. যারা মেসওয়াক করে না তাদের সাওয়াব তার আমল নামায় লেখা হয়।
৩৬. বীর্য ঘন হয়।
৩৭. দুনিয়া হতে পবিত্র হয়ে যায়।
৩৮. ফেরেস্তাগন তাকে নবীদের অনুসারী বলে।
৩৯. কবর প্রশস্ত হয়।
৪০. মৃত্যুর কষ্ট তাড়াতাড়ি শেষ হয়।
৪১. মৃত্যুর সময় কালেমা নসীব হয়।
৪২. মৃত্যুর সময় ফেরেস্তাগন সম্মানের সাথে উপস্থিত হয়।
৪৩. আমল নামা ডান হাতে পাওয়া যায়।
৪৪. পুলসিরাত বিজলীর মতো পার হওয়া যায়।
৪৫. জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়।
৪৬. জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়।
আল্লাহ আমাদেরকে মিসওয়াকের আমল করার তৌফিক দান।,,ইন শা আল্লাহ,