রোজা ভঙ্গের কারণ এবং মাকরূহসমূহ
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোজা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি সবল মুসলমানের জন্য রমজান মাসের প্রতিদিন রোজা রাখা ফরজ বা অবশ্য পালনীয়।
★★★ রোজা ভঙ্গের কারণ ⇨
১) রোজা ভঙ্গের কারণ গুলোর অন্যতম হল ইচ্ছাকৃত পানাহার করা ।
২) রোজা ভঙ্গের কারণ গুলোর অন্যতম হল স্ত্রী সহবাস করা ।
৩) কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙবে না)।
৪) ইচ্ছাকৃত মুখভরে বমি করলে।
৫) নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষুধ বা তেল প্রবেশ করালে।
৬) জবরদস্তি করে কেউ রোজা ভাঙালে।
৭) ইনজেকশান বা স্যালাইনের মাধ্যমে দেহে ওষুধ পৌঁছালে।
৮) কংকর, পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
৯) সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সূর্যাস্ত হয়নি।
১০) পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
১১) দাঁত থেকে ছোলা পরিমান খাদ্যদ্রব্য গিলে ফেললে।
১২) ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালিয়ে ধোঁয়া গ্রহণ করলে।
১৩) মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে।
১৪) রাত আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
১৫) মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর জাগরিত হলে।
★★★ রোজার মাকরূহসমূহ ⇨
১) অনাবশ্যক কোনো জিনিস চিবানো বা চাখা।
২) কোনো দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখা।
৩) গড়গড়া করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া। কিন্তু পানি যদি নাক দিয়ে গলায় পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
৪) ইচ্ছাকৃত মুখে থুথু জমা করে গিলে খেলে।
৫) গীবত, গালা-গালি ও ঝগড়া-ফাসাদ করা। কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া-ফাসাদ করতে এলে বলবে, আমি রোজাদার তোমাকে প্রত্যুত্তর দিতে অক্ষম।
৬) সারাদিন নাপাক অবস্থায় থাকা।
৭) অস্থিরতা ও কাতরতা প্রকাশ করা।
৮) কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেস্ট ও মাজন ইত্যাদি দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা।