ইনশাআল্লাহ রমযানের রোযার সুন্নাতসমূহ অবশ্যই পালন করবেন।

রমযানের রোযার সুন্নাতসমূহ

১। সাহরী খাওয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, “সাহরীতে বরকত রয়েছে। তাই তোমরা কখনো সাহরী খাওয়া বাদ দিওনা। কিছু না পেলে সামান্য পানি হলেও পান কর। কারণ যারা সাহরী খায়, আল্লাহ পাক তাদের প্রতি রহমত নাযিল করেন এবং ফেরেশতারাও তাদের জন্য গুনাহ মাফের দোয়া করেন।” (মুসনাদে আহমদ)

২। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, “যে বান্দা ইফতারের সময় হওয়া মাত্রই ইফতার করে, সে আমার নিকট খুবই প্রিয়।” (সহীহ বুখারী-১/২৫৩)

৩। খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নাত অন্যথায় পানি দিয়ে। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-৬৩১, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৬৮৯)

৪। ইফতারের সময় দোয়া পড়া সুন্নাত। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০১১) ﺍَﻟﻠّٰﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺻُﻤْﺖُ ﻭَﻋَﻠٰﻰ ﺭِﺯْﻗِﻚَ ﺍَﻓْﻄَﺮْﺕُ অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যই রোজা রেখেছি এবং আপনার রিযিক দ্বারা ইফতার করেছি।” এই হাদীসের সনদ দূর্বল।

৫। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইফতারের সময় নিচের দোয়াটিও পড়তেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২০১০) ﺫَﻫَﺐَ ﺍﻟﻈَّﻤَﺎﺀ ُﻭَﺍﺑْﺘَﻠَّﺖِ ﺍﻟْﻌُﺮُﻭْﻕُ ﻭَﺛَﺒَﺖَ ﺍﻟْﺎَﺟْﺮُ ﺍِﻥ ْ ﺷَﺎٓﺀَ ﺍﻟﻠﻪُ অর্থাৎ “পিপাসা নিবারিত হল, শিরা-উপশিরা সিক্ত হল এবং আল্লাহর ইচ্ছায় পুরস্কারও নির্ধারিত হলো।” হাদীসটির সনদ শক্তিশালী।

৬। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, “ইফতারের সময় রোযাদারের কোন দোয়াই (কবুল করা ব্যতিত) ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।” (মুসনাদে আহমাদ-২/৩০৫)

৭। পূর্ণ রমজান মাস তারাবীহ পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।

৮। তারাবীহ বিশ রাকাত পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। (তাবরানী)

৯। তারাবীহ নামায জামাতে পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া।

১০। দুই দুই রাকাত করে দশ সালামে বিশ রাকাত পড়া সুন্নাত।

১১। রমজান মাসে তারাবীহ এর মধ্যে এক খতম কোরআন শরীফ পড়া বা শুনা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।

১২। পূর্ণ ২৯ বা ৩০ দিনের তারাবীতে এক খতম কুরআন পড়া সুন্নাত।

১৩। রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া।

ইনশাআল্লাহ রমযানের রোযার সুন্নাতসমূহ অবশ্যই পালন করবেন।

রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে জানুন

বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানুন