১। হিংসা করে কারো উন্নতি ঠেকানো যায় না। হিংসুকরা সবসময় পিছিয়ে থাকে। অপরদিকে হিংসুক ও নিন্দুকদের জবাব দিতে নেই। সময় হলে আল্লাহ তা’য়ালাই হিংসুকদের সমুচিত জবাব দিয়ে দেবেন।
২। যোগ্য ব্যক্তির মর্যাদা সবাই কদর করতে জানে না। এর জন্য যোগ্যতারও প্রয়োজন হয়। ফলে কারো অবহেলা কিংবা অবমূল্যায়নের শিকার হওয়া মানেই মূল্যহীন হয়ে পড়া নয়।
৩। একজন মু’মিন সবসময় তার চরিত্র হেফাজত করবে। কোনো অবস্থাতেই হারাম রিলেশনশিপে যুক্ত হবে না। হারামের যত লোভনীয় অফার আসুক না কেন সে একমাত্র আল্লাহর জন্য দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে ‘না’ বলবে।
৪। জেলখানার মতো যত প্রতিকূল অবস্থায়ই থাকা হোক না কেন কোনো অবস্থাতেই দাওয়াতের কাজ ছাড়া যাবে না। দাওয়াতের জন্য সর্বপ্রথম সুন্দর ব্যবহার দিয়ে দাওয়াতের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে হবে।
৫। আল্লাহ কাউকে সম্মানিত করতে চাইলে দুনিয়ার কেউ তাকে অসম্মানিত করতে পারবে না। পক্ষান্তরে, আল্লাহ কাউকে বেইজ্জত করতে চাইলে দুনিয়ার কেউ তাকে ইজ্জত দিতে পারবে না।
৬। ইয়াকুব (আঃ) এর মতো যতই একের পর বিপদ আসুক না কেন তবুও নিরাশ হওয়া যাবে না, আল্লাহর ওপর ভরসার সামান্যতমও কমতি করা যাবে না।
৭। প্রতিটি মানুষের উচিত সে যত কঠিন পরিস্থিতিরই সম্মুখীন হোক, সর্বদা ঘটনার ইতিবাচক দিকের প্রতি নজর রাখবে এবং সেজন্য আল্লাহ তা’য়ালার শোকর আদায় করবে। শোকর আরও নিয়ামত নিয়ে আসে।
৮। কেউ মন্দ ব্যবহার করলেও তাঁর সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। ইউসুফ (আঃ) আমাদেরকে শিখিয়েছেন মন্দের জবাব মন্দ দিয়ে নয়, ভালো দিয়ে দিতে হয়। প্রতিশোধ নয় মানুষকে ক্ষমা করতে হয়।
৯। দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন সারাজীবন থাকে না। কষ্টের পর একসময় সুখ আসে। যেমন ঘটেছিল ইয়াকুব ও ইউসুফ (আঃ) এর বেলায়। সবুর করলে বহুকাল পরও মেওয়া ফলে। কেবল আস্থা ও ধৈর্যে অটল থাকতে হবে।
১০। ইয়াকুব (আঃ) এর মতো নিজের সকল দুঃখ-দুর্দশা, একমাত্র আল্লাহ তা’য়ালার সাথেই মনখোলে শেয়ার করা উচিত। এটাকে অভ্যাস বানিয়ে নেওয়া উচিত।
|| ‘সূরা ইউসুফ’ থেকে মোটাদাগে দশটি শিক্ষা ||
[ বি. দ্র : কোনো ডিজাইনার ভাই চাইলে এই দশটি পয়েন্ট নিয়ে এমন একটি ডিজাইন করতে পারেন যেটি প্রিন্ট করে ফ্রেইম বন্দী করে ঘরে টাঙানো যায়। এতে যখনই এগুলো পড়া হবে তখন পাঠককে রিমাইন্ডার দিবে,অনুপ্রেরণা দিবে।]
লেখা : রাকিব আলী
#সূরাইউসুফ
#শিক্ষা
#কুরআন
#কোরআন