ইসলামে উত্তম নামের গুরুত্ব
ইসলামে উত্তম নামের গুরুত্ব অপরিশীম। নবজাতক শিশুর নামকরণ ও করনীয় আবশ্যই আমাদের জেনে নিতে হবে যে কোন নাম গুলো আমরা নবজাতক শিশুর রাখব । আর এই সম্পর্কে কুরআন মাজীদ ও হাদিসে কি কি বলা আছে।
যেসব নাম ইসলামে নবজাতক শিশুর নামকরণ এর জন্য উত্তম
নামকরণের ক্ষেত্রে মূলনীতি হলাে, সব নামই জায়েয যদি সেটি নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কোনো বর্ণনা না থাকে। তাও আমরা আজ উত্তম নাম সম্পর্কে জানব।
১. আল্লাহর নামসমূহের সাথে সম্বন্ধসুচক নাম রাখা
ইসলামি দৃষ্টিকোণে সুন্দর নামের একটি দৃষ্টান্ত হলো আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহের সাথে ‘আবদ্ ও ‘উবাইদ যোগে নাম রাখা। আল্লাহর গুণবাচক নাম সম্পর্কে কুরআনের বাণী, “আর আল্লরাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাকে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে।”(আল কুরআন, সুরা আল-আরাফ ৭ :১৮০)
আল্লাহ অথবা তার বিশেষ নামসমূহের যেকোনো একটির দিকে সম্বন্ধযুক্ত মাব্বাদ বা দাসসূচক সব নাম দ্বারা নামকরণ করা মুস্তাহাব। কেননা ফর্কীহগণ এভাবে নামকরণ মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে একমত হয়ছেন।
আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় নাম আবদুল্লাহ ও আব্দুর রহমান। সাঈদ ইবনুল মসায়্যেব বলেন : আল্লাহর নিকট নবীদের নামসমৃহ সবচেয়ে প্রিয় (তুহফাতুল মাওদূদ ৮৯)
অন্য হাদিসে এসেছে
আলাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় নাম আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান । হযরত ইবনে ওমর রা, থেকে উদ্ধৃত করে বলেন : রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন।
“তােমাদের নামসমূহের মধ্যে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় নাম আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান”(ইমাম মুসলিম, হাদীস নং : ২১৩২/২)
। এ নামদ্বয় আল্লাহর প্রিয় হওয়ার কারণ হল- এ নামদ্বয়ে আল্লাহর দাসত্ব্র স্বীকৃতি রয়েছে । তাছাড়া আল্লাহর সবচেয়ে সুন্দর দুটি নাম এ নামদ্বয়ের সাথে সম্বন্ধত আছে। একই কারণে আল্লাহর অন্যান্য নামের সাথে আরবী ‘আব্দ’ (বান্দা বা দাস) শব্দটিকে সমন্ধিত করে নাম রাখাও উত্তম । -( হাশিআতু ইবনে আবেদিন, পৃষ্ঠা- ৫/২৬৮)
ইবনে আবেদীন তার হাশিয়াত আল-মুনাত্তঈ থেকে বর্ণনা করে বলেন : সাধারণভাবে আবদুল্লাহ নাম আবদুর রহমান থেকে উত্তম এবং এ দুটির পর সর্বোত্তম নাম মুহাম্মদ এরপর আহমদ এরপর ইবরাহীম।
আরও কিছু হাদিসের আলোকে নবজাতক শিশুর নামকরণ
সংখ্যাগরিষ্ঠ (জমহুর) ফকীহগণের মতে, আলাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার দিকে সম্বন্ধযুক্ত সব দাসসূচক শব্দ দ্বারা নামকরণ যেমন আব্দুল্লাহ অথবা আল্লাহর বিশেষ নামসমূহের যেকোনো একটির দিকে সম্বন্ধযুক্ত শব্দ দ্বারা নামকরণ করা মুস্তাহাব । যেমন, আবদুর রহমান, আব্দুল গফুর। (মাওয়াহিবুল জলীল ৩/২৫৬; তুহ্যফাতুল মােহতাজ ৯/৩৭৩; কিশাফুল কিনা’ ৩/২৬।)
আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় নাম আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান, এ বিষয়ে হানাফী মাযহাব জমহুরের সাথে একমত । তবে ফাতাওয়ায়ে আলমগীরি প্রণেতা বলেছেন, কিন্তু বর্তমান যুগে (আল্লাহর) নামসমূহ ছাড়া অন্য নাম রাখা অধিকতর উপযোগী। কেননা সাধারণ মানুষ ডাকার সময় এসব নাম তাসগীর (ছোট) করে ফেলে । (আল ফাতাওয়া আল হন্দিয়্যাহ ৫/৩৬২।)
ইমাম ওলামাদের মতামত
ইবনে আবেদীন আদৃদুররুল মুখতার এর ওপর লিখিত হাশিয়ায় বলেন : আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান দ্বারা নামকরণের প্রাধান্য নিরস্কুশ নয়। যারা
দাসত্বসৃচক নামকরণে আগ্রহী তারা এর উদ্দেশ্য। কারণ তারা অতীতে আবদে শামস ও আবদুদ দার নাম রাখতো। সুতরাং আল্লাহর নামের সাথে সম্পর্কযুক্ত নামের প্রাধান্য বর্ণিত হয়েছে। আর বিষয়টি আল্লাহর নিকট সব নাম থেকে মুহাম্মদ নাম সবচেয়ে প্রিয় হওয়ার পরিপন্থী নয় ।
কেননা তিনি তাঁর নবীর জন্য তাঁর নিকট সবচেয়ে প্রিয নামই পছন্দ করেছেন। এটিই সঠিক সম্বস্ধকৃত আল্লাহর নামকে তাসগীর (ছোটকরণ) এর মাধ্যমে পরিবর্তন করা জায়েয নেই। ইবনে আবেদীন বলেন : আমাদের যুগে বিষয়টি প্রচলিত । সাধারণ মানুষ আবদুর রহীম, আবদুল করীম বা আবদুল আযীয নামসমূহ থেকে আল্লাহর নামকে তাসগীরের তাশদীদ যোগে যথাক্রমে (রুহায়্যেম) (কুরাইয়্যেম) ও (উয়াইয়্যেয) ডাকে। আবদুল কাদেরকে ডাকে কুয়াইদের।
ইচ্ছাকৃ্ত এরূপ ডাকা কুফরি। আল মুনইয়া’ গ্রন্থে রয়েছে, কেউ আবদুল আযীয বা অনুরূপ আসমাউল হুসনা এর যেকোনোে একটির সাথে সম্পর্কিত নামের শেষে ইচ্ছাকৃত ও অবজ্ঞা করে তাসগীর যোগ করলে সেটি কুফরি
। আর যদি সে না বুঝে ও অনিচ্ছাকৃত ভাবে এরূপ করে তাহলে কুফরির হুকুম আরােপিত হবে না। যে ব্যক্তি তার কাছ থেকে এরপ শুনবে তার দায়িত্ব তাকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া। তাদের কে কেউ আবদুর রহমান নামকে ও (রাহিমূন) নামেও ডাকে। (আল ফাতাওয়া আল হন্দিয়্যাহ ৫/৩৬২)
২. নবীদের নামে নবজাতক শিশুর নামকরণ
যে কোনা নবীর নামে নাম রাখা ভাল যেহেতু তাঁরা আল্লাহর মনোেনীত বান্দা। হাদিসে এসেছে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “তােমরা
আমার নামে নাম রাখ । আমার কুনিয়াতে (উপনামে) কুনিয়ত রেখো না।–(বৃখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং- ৮৩৭)
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুনিয়ত ছিল- আবুল কাসেম । নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিজের সন্তানের নাম রেখেছিলেন ইব্রাহিম। কুরআনে কারীমে ২৫ জন নবী-রাসূলের নাম বর্ণিত আছে মর্ম আলেমগণ উল্লেখ করেছেন। এর থেক পছন্দমত যে কোনো নাম নবজাতকের জন্য নির্বাচন করা যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ সা, বলেন,” তোমরা নবিদের নামে নাম রাখ। আল্লাহর কাছে প্রিয় ও পছন্দনীয় নাম হলো আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান এবং হারিছ ও হুমাম। আর অপছন্দনীয় নাম হলো হারব ও মররাহ। (ইমাম বুখারী আদাবুল মুফরাদ হাদীস নং ৮১৪)
আবু দাউদ তার সুনানে আবুল জাসামী রা, থেকে একটি হাদীস উদ্ধত করেছেন যা নবীগণের নামে নামকরণ করাকে জায়েয প্রমাণ করে। রাসূলুলাহ স
বলেছেন, ‘তােমরা নবীগণের নামে নামকরণ করাে’ ইমাম বুখারী কর্তৃক তার “আস-সহীহ’-এ উদ্ধৃত হযরত জাবের রা.-এর একটি হাদীস আমাদের নবী মুহাম্মদ স, এর নামে নামকরণ করাকে জায়েয প্রমাণ করে। তিনি বলেন : ‘আমাদের মধ্যে এক ব্যক্তির একটি সন্তান জন্যগ্রহণ করেছে। অতঃপর সে তার নাম রেখেছে কাছেম। লোকেরা বললো, নবী স.-কে জিজ্ঞেস করা ব্যতীত তার কুনিয়াত (উপনাম) রেখাে না। এরপর নবী স বললেন, ‘তােমরা আমার নামে নামকরণ করো, কিন্তু আমার কুনিয়াত দ্বারা কুনিয়াত রেখাে না।
৩. সাহাবীদের নামে নবজাতক শিশুর নামকরণ
মহান আল্লাহর নামের সাথে সম্বন্ধবাচক শব্দ যােগ করে নাম রাখার পর উত্তম হলাে নবীদের নামে নাম রাখা। এর পরে উত্তম হল সাহাবীদের নামে নাম রাখা।
৪. নেককার ব্যক্তিদের নামে নাম
নেককার ব্যক্তিদের নামে নাম রাখাও উত্তম । এর ফল সংশিষ্ট নামের অধিকারী ব্যক্তির স্বভাব-চরিত্র নবজাতকের মাঝে প্রভাব ফেলার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া যায়। এ ধরনের আশাবাদ ইসলামে বৈধ। নেককার ব্যক্তিদের শীর্ষস্থানে রয়েছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালুলাম এর সাহাবায়ে কেরাম। তারপর তাবেয়ীন। তারপর তাবে-তাবেয়ীন। এরপর আলেম সমাজ।
৫. ইসলামে উত্তম নামের গুরুত্ব ও ভালাে নামের প্রভাব
একথা সর্বজন বিদিত যে মানুষের জীবনে তার নাম ও নামের অর্থ সুগভীর প্রভাব বিস্তার করে। সুন্দর নাম মানুষের জীবনে শুভ হয়ে আসে। সুন্দর
নামধারীর জীবনও হয় সুন্দরময়। যার উজ্জ্বল প্রমাণ বহন করে প্রিয় নবী -এর পবিত্র নামের মধ্যে। ইবন কাইয়্যেম জাওযীয়া (রহ) তার কিতাব
তুহফাতুল মাওদুদ বি আহকামিল মাওদুদ-এর মধ্যে বলেন এ কথা ।
দিবালােকের ন্যায় সমুজ্জ্বল যে নামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবেই মানুষের ভালো- মন্দ, আখলাক, আচরণ ও কর্মধারা প্রভাবিত হয়। নিখিল বিশ্বের ত্রাণকর্তা সুপারিশীর কান্ডারী হযরত মুহাম্মদ -কে মুহাম্মদ (চরম প্রশংসিত) ও আহমদ (অত্যন্ত প্রশংসাকারী) নামে ডাকা হতাে। বস্ত্রতঃ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তিনি ছিলেন রাহমানুর রাহীমের প্রশংসায় সর্বোত্তম এবং পৃথিবীর সকলের কাছেই উত্তম চরিত্র ও গুনাবালির জন্য প্রশংসিত।
প্রিয় নবি (স.) সুন্দর নাম রাখার জন্য তাগিদ দিযেছেন। আনেক সময় নিজেই নাম রেখে দিয়েছেন। কেননা নামধারী আর নামের কারণে লজ্জাবোধ করে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে। এবং নামের সাথে সামঞ্জ্যপূর্ন কাজ কাজ করে। কাছেই উত্তম চরিত্র ও গুণাবলীর জন্য প্রশংসিত
মহানবী (সা.) এর নামকরণ এর মজার একটি গল্গ ও নামের অর্থ
সুন্দর নাম যে মানুষের জীবনে শুভ হয়ে আসে যার উজ্জল প্রমাণ বহন করে প্রিয়নবী এর নাম রাখার ও নাম করণের মধ্যে দিয়ে। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা জন্মের পর আব্দুল মুত্তালিব শিশু মুহাম্মদ -কে পবিত্র কাবা ঘরে নিয়ে এলেন। শিশু মুহাম্মাদ -কে কাবা ঘরে নিয়ে আসা মাত্রই অধীর আগ্রহ নাম জিজ্ঞাসা করলেন অনেকে, তখন আব্দুল মুত্তালিব জবাব দিলেন নাম মুহাম্মদ (চরম প্রশংসিত) শিশু মুহাম্মদের পবিত্র নাম শুনে কুরাইশ নেতারা মম্তব্য করে যে এহেন নামতাে কাউকে রাখতে শুনা যায়নি। আব্দুল মুত্তালিব বলেন আল্লাহর অসীম রহমতে এই পবিত্র নামের মতই সে সমাজের সকলের প্রশংসিত ও সম্মানিত হবে। মহান করুণার আঁধার আল্লাহ জাল্লাহ শানুহর অসীম রহমতে আব্দুল মুক্তালিবের শুভ কামনা সত্যিই বাস্তবায়িত হয়েছে।
আলোচ্য আলোচনার উপসংহারে একথা বলা যায় যে জাগরণে, সবপনে, জীবিত ও মৃত অবস্থায় ভালাে ও মন্দ নামের প্রভাব বিদ্যমান । ইসলাম সম্মত অর্থপূর্ণ সুন্দর নামের গুরুত্ব অনুধাবন করেই প্রিয় নবী সুন্দর নাম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মানব জীবনে তার নাম ও নামের অর্থ গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। ভালো নামের বদৌলতে অনেক সময় মানুষের চরিত্র, চালচলন ও আচার-ব্যবহার হয় উন্নত।
নাম সুন্দর ও অর্থবহ হলে কেউ যদি নাম জিজ্ঞেস করে তখন জােরে নামটি বলতেও লজ্জাবােধ হয় না। আর নামের অর্থ জিজ্ঞেস করলে যদি অর্থ সুন্দর হয়, তাহলে তা বলতেও মনে আনন্দ পাওয়া যায়। অন্যদিকে কেউ যদি কাউকে ভালো নামে ডাকে, তাহলে তার সে ডাকটিও হয়তো দোয়ায় পরিণত হয় যেতে পারে। যেমন কেউ যদি কাউকে ডাক দেয় ‘হে খাদিমুল ইসলাম! অর্থাৎ ‘হে ইসলামের সেবক এবং এ নামে যদি বারবার ডাকে, তাহলে এরই বিনিময়ে আল্লাহর মেহেরবানীতে হয়তো একদিন সে সত্যিই ইসলামের একজন সেবক হয়ে যেতে পারে।
মহানবী (সা.) এর কিছু নামের অর্থ
ভালো নাম মানুষের জীবনকে সুন্দরময় করে তারই সত্যতা বহন করে। বিশ্বনবী সা তাঁর নামের স্বার্থকতা যা ঘটেছে নজিরবিহীনভাবে। বিশ্বনবী সা -এর নাম হলো ‘মুহাম্মদ’ (প্রশংসিত) এবং ‘আহমাদ’ (অত্যন্ত প্রশংসাকারী)। আর পরিপূর্ণভাবে হয়েছিলেনও তাই। তিনি কেবলমাত্র মুসলিমদের নিকটই প্রশংসিত হননি, অমুসলিমদের নিকটও হয়েছিলেন প্রশংসিত । তাইতাে আইয়্যামে জাহলিয়্যাতে কাফিররা পর্যন্ত তাঁকে আল আমীন (বিশ্বাসী) উপাধিতে ভূষিত করেছিল । বর্তমান বিশ্বে কেবলমাত্র এবং একমাত্র মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহই হলেন শ্রেষ্ঠতম প্রশংসিত।
অপরদিকে তিনি হলেন ‘আহমাদ’ (অত্যন্ত প্রশংসাকারী) । তিনি আল্লাহ পাকের যে প্রশংসা ও ইবাদত করেছেন পৃথিবীর কোনা মানুষই তা পারেনি। এবং পারবেও না। তাইতা তিনি আহমাদ (আত্যন্ত প্রশংসাকারী) এবং হয়েছেন হাবীবুল্লাহ’ (আল্লাহর বন্ধু) উপাধিতে ভূষিত । মুহাম্মদ -এর জন্মের পর তৎকালীন আরবের উচ্চবংশের প্রথানুযায়ী শিশু মুহাম্মদ -এর লালন পালনের দায়িত্ব পেয়ছিলেন বনু সা’দ গোত্রের বেদুইন এক মহিলা।
দাদা আব্দুল মুত্তালিব সে মহিলাকে জিজ্জেস করেছিলেন তােমার নাম কি? উত্তর দিলেন হালীমাতুস সাদীয়া হালীম অর্থ সহনশীল, ধৈর্যশীল, কোমল স্বভাব আর সাদিয়া’ অর্থ ভাগ্যবতী। আব্দুল মুত্তালিব তার নাম গুনে অত্যন্ত খুশী হলেন এবং তার হাতে নিশ্চিত্তে তুলে দিলেন বিশ্বনবী শিশু মুহাম্মদ এ-কে। সত্যিই তিনি হলেন ভাগ্যব্তী। সম্ভবত নামের বদৌলতেই তিনি আল্লরাহর রাসূল লালন -এর লালন পালনের সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। ভালাে ও অর্থবহ নাম মানব জীবনকে সুন্দর ও সুখময় করে এমন বহু ঘটনা পৃথিবীতে রয়েছে।
ইসলামে উত্তম নামের গুরুত্ব জানা ও মেনে চলা আমাদের ইমানী দায়িত্ব।